দিনাজপুর জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

দিনাজপুর জেলাটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের পাশ ঘেষা একটি জেলা। এটি রংপুর বিভাগের প্রাচীন একটি জেলা এবং আয়তনের দিক থেকে এবং উপজেলার সংখ্যার দিক থেকেও এটি বৃহত্তম জেলা হিসেবেই দেখা হয়। এ জেলায় অনেক ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল বলে জানা যায় এবং এটি বাংলাদেশের শস্যভান্ডার হিসেবেও দেখা হয়। প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য এই দিনাজপুর জেলাতে উৎপন্ন হয়ে থাকে।

ধিবাসীদের দিক থেকে দেখলে দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ অধিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠীর। তাই যেহেতু ২০২৩ সাল এবং হিজরী 1444 সনের পবিত্র রমজান মাস একেবারে নিকটে। এই কারণে প্রতিটি মুসলিম জনগণ এখন রমজান মাসের রোজার তালিকা অর্থাৎ সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি পাবার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার অধিবাসী প্রায় মুসলিম অর্থাৎ প্রায় 90% জনগণ বাংলাদেশের মুসলিম হওয়ার কারণে এই দেশে ইসলামিক যে সাংস্কৃতি দৃষ্টি কালচার সেগুলি শতভাগ পালন হয়ে থাকে।

এছাড়াও রমজান মাস যেহেতু প্রতিটি মুসলিমের জন্যই একটি পবিত্রতম মাস আর এই পবিত্রতম মাসের অপেক্ষায় সকল মুসলমানগন চেয়ে থাকেন। কারণ এই রমজান মাস মুসলমানদের জন্য যেহেতু পবিত্র মাস আর এই মাসটিতে সকলেই এবাদত বন্দেগীতেই মশগুল থাকেন। তারও একটি কারণ হলো রমজান মাসে আল্লাহতালার প্রার্থনা করলে সে প্রার্থনা সহজেই আল্লাহতালা কবুল করে নেন।

এবং মহান রাব্বুল আলামিনের একেবারে সান্নিধ্য লাভের জন্য এবং তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সকল মুসলিম সমাজ এই রমজান মাসটিকে বিছানায় প্রার্থনার জন্য। মাসের দিক দিয়ে অর্থাৎ আরবি ১২ মাসের মধ্যে যেহেতু রমজান মাস পবিত্রতম মাস এই মাসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর কোরআন নাজিল হয়েছিল আর এই কারণেই এটি আরো বেশি পবিত্র মাস হিসেবে আমরা গণ্য করে থাকি। বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় এই রমজান মাসে অনেক পবিত্রতম দিন এবং রাত রয়েছে। সকল পবিত্রতম রাতে সকল মুসলমানগণ ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকেন।

তাই সকল মুসলিম জনগণ বাংলাদেশের যেহেতু অধিকাংশ জনগণ মুসলিম তাই বাংলাদেশের নাগরিকগণ যারা এই রমজান মাসটিকে একেবারে ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন আচরণ এবং ধর্ম আচরণ করে থাকবেন। পবিত্র রমজান মাসের সময়সূচি না থাকলে সে সকল ধর্মচরণ করতে অবশ্যই সমস্যা হবে। কারণ ইফতারির একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে এবং রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়ার একটি শেষ সময় রয়েছে। যে সময় পর্যন্ত সেহর ির খাবার খাওয়া যায় অর্থাৎ রোজা রাখার জন্য যে খাবার সেটি সেহরির খাবার এটি খাওয়া যায়। তাই অবশ্যই সকলকে এই সময় সম্পর্কে অর্থাৎ রমজান মাস ২০২৩ সালের সময় সম্পর্কে প্রত্যেকটি নাগরিককে অর্থাৎ মুসলিম নাগরিককে সচেতন থাকতে হবে।

সেহরি এবং ইফতারের তালিকা যদি না জানে অর্থাৎ সময়সূচি যদি না জানে তাহলে রোজা রাখা অনেক কষ্টকর হবে। বাংলাদেশের যেহেতু প্রায় ৯০% জনগণ মুসলিম সে কারণে ইফতারের তেমন খুব বেশি সমস্যা হবে না কিন্তু রাত্রিতে যখন বাসায় একা একা থাকবে তখন সেহরি খাওয়ার সময়টা যদি না জানে তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। সকল সকল দিক বিবেচনা করে আমরা আমাদের এই পোস্টে আজকে দিনাজপুর জেলার সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি তালিকা প্রকাশ করব আপনাদের জন্য। কারণ আপনারা সকলেই জানেন সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি সারা দেশের জন্য একটি সময় নয় বিভিন্ন অঞ্চল এবং জেলাভেদে এর আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কারণ হলো চার এবং সেহরি যেহেতু সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সহিত সম্পর্ক রয়েছে সে কারণেই ইসলামের বিধান অনুযায়ী পশ্চিম আকাশ অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত ইফতার করা যায় না। আবার সেহরির ও একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে যে সময় পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যায়। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টটিতে দিনাজপুর জেলার ইফতারের সময়সূচি তালিকা আপনাদের অবগতির জন্য উপস্থাপন করব। আপনারা এ তালিকাটি দেখবেন এবং প্রয়োজনে ডাউনলোড করে নিয়ে অন্য সকলকে দেবেন আশা রাখি। তাহলে চলুন ২০১৩ সালের রমজান মাসের বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার ইফতারের সময়সূচি তালিকাটি দেখে নিই।