সৌদি আর ব বাংলাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত একটি মুসলিম রাষ্ট্র। এই সৌদি আরবে প্রতি বছর হজ পালনের জন্য সারা বিশ্বের মুসলিমরা এখানে যেয়ে থাকেন। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলিমগণ জীবনে একবার হলেও হজ পালন করতে সৌদি আরবে যেতে হয়। আর এই কারণে সৌদি আরব দেশটি বিশ্বের মুসলিমদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আগ্রহের দেশ হিসেবেই পরিচিত। এদের আরেকটা অকারণ রয়েছে কারণটি হল ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটে এই আরব থেকে। সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে ইসলামের প্রবক্তা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। এবং এই মক্কা নগরীতে এই ইসলামের প্রবর্তক এবং প্রাণপুরুষ এর বেড়ে ওঠা। আর সৌদি আরবের থেকেই পৃথিবীর সমস্ত দেশেই ইসলামের বিস্তার ঘটে।
বর্তমানে সৌদি আরব পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে একটি রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা হয়ে থাকে। এই রাষ্ট্রটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে প্রতি বছর আর এই কারণে সৌদি আরবে অনেক বিদেশী লোকের বসবাস। তারি পেতে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর সৌদি আরবে অনেক শ্রমিক এখানে কাজের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রভাষা আরবি এই আরবীতে সৌদি আরবের সকলেই কথা বলে এবং আঞ্চলিক কিছু উপভাষাও রয়েছে এই সৌদি আরবে। আর এই কারণে বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানগন যদি সৌদি আরবে যে বসবাস করে থাকে তাহলে তারে সেই সৌদি আরবের ভাষায় অর্থাৎ আরবি ভাষায় সকল কিছু বুঝে উঠতে পারে না। সকল কিছু যদি বুঝে উঠতে না পারে তাহলে তাদের অবশ্যই অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আর এই কারণেই যেহেতু বাংলাদেশী শ্রমিকগণ এখানে বসবাস করে থাকেন তাই তাদের ভাষার ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হয়।
কিন্তু আর কিছুদিন পর অর্থাৎ ২০২৩ সালের রমজান মাস খুব নিকটে। এই রমজান মাসের জন্য বিশ্বের প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। কারন আমরা জানি রমজান মাস হল ইবাদত করার মাস। আল্লাহতালার নৈকট্য লাভের জন্য এই মাসে সকল মুসলমানগন সিয়াম সাধনা করে থাকেন। অর্থাৎ পুরো রমজান মাসটি ধরে তারা একেবারে ইসলামের জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে থাকেন। অর্থাৎ সকল মুসলমানগন এই মাসটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখে এই মাসে সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকেন।
অর্থাৎ যে ব্যক্তিটি বছরের ১১ মাসে যদি কোন এবাদত বন্দেগীতে না থাকেন তারপরেও তিনি রমজান মাস থেকে অর্থাৎ পুরো রমজান মাস জুড়ে সকল প্রকার সিয়াম সাধনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। এজন্য বলছি যে এই রমজান মাসের জন্য প্রতিটি মুসলমানগণ অধীর আগ্রহে বসে থাকেন কবে রমজান মাস আসবে। মুসলমানদের কাছে রমজান মাস যেহেতু অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস এই কারণে এই মাসে ইবাদত বন্দেগী সকল কিছুই আল্লাহতালা কবুল করে নেয় বলে আমাদের ধারণা। আর এই কারণে রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগি করে সময় কাটানোর চাহিদা প্রতিটি মুসলমানের কাছে বেড়ে যায়।
সৌদি আরব জেদ্দা
সৌদি আরব দাম্মাম
সৌদি আরব রিয়াদ
সৌদি আরব মক্কা
যে কোন ব্যক্তি যে ধরনের কাজই করুক না কেন সকলে এই মাসের এবাদত বন্দেগী থেকে বাদ যায় না। তাই আমারে বাংলাদেশী মুসলমানগন যারা কাজের সূত্রে সৌদি আরবে রয়েছেন তারা শুধু ভাষার কারণে অর্থাৎ সৌদি আরবের ভাষা ঠিক মত না বোঝার কারণে যদি তারা এবাদত বন্দেগী থেকে বাদ পড়ে তাহলে সকল মুসলমানদের জন্য এটি একটি খারাপ বিষয় হতে পারে। তাই এ সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি দৃষ্টি রেখে আমরা তাদের জন্য বাংলা ভাষায় সৌদি আরবের একবারে স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহেরির শেষ সময়ের যে তালিকা রয়েছে সেটি প্রকাশ করেছি।
এই কারণে যে সকল প্রবাসী অর্থাৎ সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইয়েরা আমাদের এই তালিকাটি পেতে চান তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিতে বারবার ভিজিট করবেন এবং তালিকাটি দেখে নিয়ে ডাউনলোড করে নেবেন। কারণ আমাদের এই তালিকাটি ডাউনলোড করে নেওয়া যায় অনায়াসেই। তাই যে সকল মুমিন ভাইদের আমাদের তালিকাটি প্রয়োজন হবে সেই তালিকাটি অবশ্যই আমাদের এখান থেকে নেবেন। তাহলে চলুন সৌদি আরবের স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রকাশিত একেবারে বাংলা ভাষায় সেহরির শেষ সময়ের তালিকা।