সৌদি আর ব বাংলাদেশের একটি বন্ধু রাষ্ট্র। সৌদি আর ব যেমন বাংলাদেশের সব সময় ভালো চায় তেমনি বাংলাদেশও সৌদি আরবের সব সময় মঙ্গল চেয়ে থাকে আর এই কারণে রাষ্ট্র দুইটি একটি অপরটির বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। আবার আরেক দিক থেকে যদি বলা যায় সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ দুইটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব পরিচিত। আবার ইসলাম ধর্মের মাতৃভূমি হল সৌদি আরব।
সৌদি আরবে ই প্রথম ইসলামের আবির্ভাব হয়। ইসলামের প্রাণপুরুষ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জন্ম হয়েছিল সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে। এই মক্কা নগরীতে ই মহানবী বেড়ে ওঠেন এবং মক্কা নগরী থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার ভিতরে হীরা পর্বতের গুহায় তিনি দীর্ঘ 15 বছর ধ্যানমগ্ন ছিলেন এবং এই হীরা পর্বতের গুহায় থাকা অবস্থায় হযরত মুহাম্মদ এর কাছে ওহী আসতে থাকে। হযরত মুহাম্মদ এর উপর ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ কেতাব কোরআন নাজিল হয়।
তাই বলা যায় যে সৌদি আরব ইসলামের মাতৃভূমি এখান থেকেই ইসলাম সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সৌদি আরব থেকেই ইসলামের সবকিছু পরিচালিত হয় বা সৌদি আরবের নেতৃত্বেই ইসলামের সকল কিছু হয়ে থাকে। আর বিশ্ব ের অনেক দেশেই এবং অনেক সমাজে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন করে থাকে এবং ঈদ পালন করে থাকেন এরকম মানুষের সংখ্যা খুব কম আছে বলে মনে হয় না। তাই সৌদি আর ব আমাদের জন্য একটি কাঙ্খিত রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রে প্রত্যেকটি মুসলমান একটিবারের জন্য হলেও যাওয়ার ইচ্ছা জাগে। ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটির মধ্যে একটি হল হজ্ব। আর এই হজ করার জন্য সকলকে সৌদি আরব তো যেতেই হয়। কিন্তু আজ সকলের জন্য ফরজ নয় যাদের জন্য ফরজ তারাই শুধু যেতে পারবে অর্থাৎ সামর্থ্যবানদের জন্য হজ্ব ফরজ।
বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সৌদি আরবে প্রচুর সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষকে নিয়ে থাকে। আর এইসব মানুষ তাদের কর্মের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বসবাস করে থাকে। কিন্তু সৌদি আরবের রাষ্ট্রভাষা হলো আরবি আর আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। আমাদের দেশের সকলেই প্রায় বাংলাতে কথা বলে। আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আর অন্যান্য ভাষায় কথা বলতে পারেনা। যদিও তারা কর্মের সূত্র ধরে সৌদি আরবে পাড়ি জামান তার পরেও তারা আরবি ভাষা ভালো করে না বোঝার কারণে তাদের সেখানে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সমস্যা হয়ে থাকে। এই কারণে আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে সৌদি আরবে বসবাসরত বিভিন্ন বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি আরবের রোজার সময়সূচি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি।
সৌদি আরব জেদ্দা
সৌদি আরব দাম্মাম
সৌদি আরব রিয়াদ
সৌদি আরব মক্কা
কারণ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ এবং 1444 হিজরী সনের রমজান মাস আগত। এই রমজান মাসের জন্য পুরো দুনিয়ার মুসলমান সমাজ তাকিয়ে থাকেন। কারণ এই রমজান মাসটি প্রতিটি মুসলিমের জন্য পবিত্র একটি মাস। এই মাসটিতে সকলেই ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটান। অর্থাৎ প্রত্যেকেই এই মাসটিকে আল্লাহর সান্নিধ্যে আসতে চেষ্টা করেন। ইসলামের বিধান মোতাবেক অন্যান্য মাসে যেমন তেমন যাই হোক কিন্তু রমজান মাসে ইসলামের বিধান মোতাবেক সকলে জীবন কাটাতে চায়। অর্থাৎ একটি মাসের জন্য হলেও সকলে মুসলিম হয়ে ওঠেন। সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিম জনগণের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ২০২৩ সালের রমজান মাসের সেহরি ইফতারের সময়সূচি সংঘটিত তালিকাটি একদম আমাদের বাংলা ভাষায় প্রকাশ করেছি। তাই যে সকল সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলমানগণের আমাদের এই বাংলা ভাষায় প্রকাশিত অর্থাৎ সৌদি আরবের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সেহেরী এবং ইফতারের রোজার সময়সূচি আপনারা আমাদের এখান থেকে নিতে পারবেন।
তার জন্য আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে এখান থেকে তালিকাটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কোন তথ্য ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের কোন একটা চার্জ প্রযোজ্য হবে না। এই কারণে আপনারা চাইলে এই তালিকাটি নিয়ে নিতে পারবেন অনায়াসেই। তাহলে চলুন দেখা যাক ২০২৩ সালের রমজান মাসের সৌদি আরবের স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রকাশিত সেহরি এবং ইফতারের তালিকাটি।