নীলফামারী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

আপনি কি নীলফামারী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ খুঁজছেন ? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন । আর এই আর্টিকেলটি আপনি পড়তে পারেন। কারণ আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে নীলফামারী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ দেওয়া হয়েছে। রমজান মাস হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের মাস, আল্লাহতালার ইবাদত করার মাস। অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসটি অনেক বেশি বরকতম এবং মর্যাদা পূর্ণ একটি মাস । কেননা এই মাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছিল । আল কুরআন এমন একটি ধর্মগ্রন্থ যেখানে মুসলমানদের সমস্ত দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে । তাই প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তির উচিত ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আল কুরআনকে প্রাধান্য দেওয়া এবং কুরআনের দেখানো দিক নির্দেশনা অনুসারে জীবন অতিবাহিত করা।

যে সকল ব্যক্তি ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করে বা কুরআনের বিধান অনুসারী জীবন পরিচালনা করে , আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি অনেক বেশি খুশি হন এবং রহমত বর্ষণ করে। ইসলাম অনুসারে জীবন যাপন করলে এবং আল্লাহর দেখানোর পথ বা কুরআনের বিধান অনুসারে জীবন যাপন করলে আল্লাহ তার প্রতি অনেক সন্তুষ্ট হন । তাছাড়া সে যেমন পরকালীন জীবনে মুক্তি লাভ করবে, শান্তি লাভ করবে , চির শান্তির স্থান জান্নাত লাভ করবে, তেমনি ভাবে দুনিয়ার জীবনেও সে সুখ শান্তির অধিকারী হতে পারবে। যে ব্যক্তি কুরআনের বিধান অনুসারে জীবন যাপন করে , তাকে আল্লাহ যেমন ভালোবাসা তেমনি দুনিয়াতেও সকল ব্যক্তি তাকে পছন্দ করে । সাধারণত সেই ব্যক্তিকে তার সকল প্রতিবেশীরা এবং আত্মীয়-স্বজনেরা ও পছন্দ করে , বিশ্বাস করে । তাছাড়া সেই ব্যক্তি নিজেকে সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত রেখে আল্লাহতালা সেবায় বা আল্লাহ তাআলার ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

আর যে ব্যক্তি কুরআনের বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা করেন না, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি খুশি হন না এবং আল্লাহতালার রহমতও তার প্রতি বর্ষিত হয় না। সে দুনিয়াতে সকল প্রকার পাপ কাজ লিপ্ত হয় এবং পরকালীন জীবনেও সে চির শাস্তির স্থান জাহান্নামে যেতে পারে । আর দুনিয়ার জীবনেও কেউ তাকে পছন্দ করেনা। সে দুনিয়াতে যেমন কারো শ্রদ্ধা, সম্মান পায় না । তেমনি ভাবে পরকালীন জীবনেও সে সুখ শান্তি ভোগ করতে পারবে না । তাই যে সকল ব্যক্তি কুরআন বিশ্বাস করে না বা কোরআনের বিধান অনুসারে চলে না, তাদেরও উচিত রমজান মাসে এসে তাদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করা। তাছাড়া আল্লাহর ইবাদতে শামিল হওয়া । আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল। তিনি চাইলে পূর্ববর্তী দোষগুলো বা পাপগুলোও ক্ষমা করে দিতে পারেন এবং হেদায়েত দান করতে পারেন।

আর তাই প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্ট অর্জন করতে চায়। আর এজন্য অবশ্যই সেহেরী ও ইফতারের সময় গুলো সম্পর্কে একটি চমৎকার বা পর্যাপ্ত ধারণা রাখা জরুরি । কেননা কোন ব্যক্তি যদি সঠিক সময়ে সেহেরী না করে বা ইফতার না করে , তাহলে সে পরিপূর্ণভাবে রোজা রাখতে পারে না এবং আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করতে নাও পারেন। এজন্য সেহরি ও ইফতারের সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সঠিক সময় যেমন সেহরি গ্রহণ করা খুবই জরুরী একটি বিষয়, তেমনি ভাবে সঠিক সময়ে ইফতার করাও অনেক জরুরি একটি বিষয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে যদি কোন ব্যক্তি ইফতার করে, তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং সেই রোজার বিনিময়ে সে কোন ধরনের নেকি পাবে না । তার শুধুমাত্র উপোস করে থাকা হবে‌ তাই এই দিক থেকে বিবেচনা করে অবশ্যই সঠিক সময়ে বা নির্দিষ্ট সময় ইফতার করা উচিত এবং ইফতারের সময় অবশ্যই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করা দরকার।