পটুয়াখালী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

রমজান মাসের অন্যতম প্রধান ইবাদত হচ্ছে সিয়াম সাধনা বা রোজা রাখা। রমজান মাসে সিয়াম সাধনার ফলে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভ করা যায়। এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি দেখা যায় যে রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে। তাছাড়া রমজান মাস অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি মর্যাদা পূর্ণ এবং বরকতময় একটি মাস। কেননা এই মাসে আল্লাহ তাআলা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছিলেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় নবুয়তপ্রাপ্ত হন এবং আল কোরআন তার উপর নাযিল হয়। হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে সূরা আলাক এর দ্বারা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে পুরো ২৩ বছর ধরে আল কুরআন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছে।

এজন্য রমজান মাস অন্যান্য মাসের চাইতে অনেক বেশি মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতময় একটি মাস। আর এই মাসে প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যাক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অনেক বেশি ইবাদতে মগ্ন হয়ে থাকে। আর আল্লাহ তায়ালা ও খুশি হয়ে অনেক বেশি রহমত বর্ষণ করেন। তাছাড়া কোন ব্যক্তি যদি তার পূর্ববর্তী অপরাধের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে মন থেকে ক্ষমা চায়। তাহলে আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে তার অপরাধ ক্ষমা করে দিতে পারেন। কেননা আল্লাহ অনেক বেশি ক্ষমাশীল এবং তিনি এই মাসে অনেক বেশি রহমত বর্ষণ করেন।

তবে রমজান মাসে রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময়ের দিকে খুবই সুন্দর ভাবে সতর্ক হতে হবে। কারণ সঠিক সময়ে যদি সেহরি ও ইফতার করা না যায় তাহলে রমজান মাসের সঠিকভাবে রোজা রাখা যাবে না এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না। তাই সেহরি ও ইফতারের সময় সঠিক সময় সেহরি ও ইফতার করতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি সঠিক সময় সেহরি ও ইফতার না করে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরি না করে তাহলে সে রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে রোজা রাখতে পারবে না এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভ করতে পারবে না। তাই তো দেখা যায় যে রমজান মাসে বেশিরভাগ মানুষই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চাই বা সময়সূচি গুলো নিজের সংগ্রহে রাখতে চাই। এজন্য অনলাইনে অনেক বেশি সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে সার্চ করে।

তাছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় সেহরি ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। কারণ প্রত্যেকটি জেলার সময় কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। এজন্য প্রত্যেকটি জেলার জন্যই আলাদা আলাদা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আলাদা আলাদা তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে এবং পোস্ট করা হয়েছে। এখান থেকে বাংলাদেশের যে কোন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি খুব সহজে সংগ্রহ করা যাবে। আপনি যে জেলার ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করতে চান সেই জেলার ইফতারের সময়সূচি এখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন

তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত পটুয়াখালী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি উপস্থাপন করেছি। এখান থেকে যে সকল ব্যক্তি পটুয়াখালীতে থাকে বা পটুয়াখালীতে বসবাস করে অথবা পটুয়াখালীতে থেকে এই বছর রমজান মাসে রোজা রাখতে চাচ্ছেন সেই সকল ব্যক্তিরা খুব সহজেই পটুয়াখালীর সঠিক সেহরি ও ইফতারের সময় গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর এইভাবে এই সময় অনুযায়ী সঠিকভাবে সেহরি ও ইফতার করার মাধ্যমে রোজাগুলো রাখতে পারবেন সুন্দরভাবে। আর তাই যে সকল ব্যক্তি পটুয়াখালীতে রয়েছেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি বিশেষভাবে উপকারী হবে বলে আশা করছি এবং তারা খুব সহজে এখান থেকে সঠিক সময় গুলো পেয়ে যাবেন বলেও আশা করছি।