ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

আমরা জানি ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে একটি দেশের সময়সূচির সাথে আরেকটি দেশের সময়সূচি মিলে না । অর্থাৎ প্রত্যেকটি দেশে আলাদা আলাদা সময় বিরাজমান । একটি দেশে যদি দিন হয় , তাহলে অপর দেশে রাত হতে পারে ‌। আবার একটি দেশে সকাল হলে আরেকটি দেশে বিকেল হতে পারে । এরকম সময় তারতম্যের মূল কারণ হচ্ছে ভৌগোলিক অবস্থান ।

তবে শুধুমাত্র একটি দেশ থেকে আরেকটি দেশের সময়ের তারতম্য হয় এমনটা না । একটি দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যেও সময়ের তারতম্য হতে পারে। যেমন বাংলাদেশের দুটি শহরের মধ্যে একই সাথে সেহেরী ও ইফতার নাও হতে পারে। সামান্য সময়ের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এজন্য প্রত্যেকটি এলাকার জন্য আলাদা আলাদা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি বা ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে । বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষ বা বিভিন্ন জেলার মানুষ তাদের নিজ নিজ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি গুলো সংগ্রহ করার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন ।

আর তারা যেন খুব সহজেই নিজ নিজ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি পেয়ে যায় , তাই আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখা হয় । এই আর্টিকেল গুলোর মধ্য থেকে আপনি খুব সহজে আপনার জেলার ইফতার ও সেহরীর সময়সূচি গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন বলে আশা করছি। তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করে রাখতে চান, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে বলে আশা করছি।

আর তাই আপনাকে এই আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়তে হবে। কেননা আপনি যদি আর্টিকেলটি ঠিকমতো না পড়েন, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার পুরা রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন না। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক । আর আপনিও আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন আর আপনার প্রয়োজনীয় সময়সূচি সংগ্রহ করে নিন।

রমজান মাস হল আরবি মাস । অন্যান্য আরবি মাসগুলোর তুলনায় রমজান মাস অনেক বেশি বরকতময় এবং ইবাদতের একটি মাস । এই মাসে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি রহমত নাযিল করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা মুসলিম ব্যক্তির উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করা এবং পূর্ববর্তী ভুলের বা পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া । কোন ব্যক্তি যদি এই মাসে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অনেক বেশি ইবাদত করেন আর আল্লাহর কাছে মন থেকে ক্ষমা চান, তাহলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন ।

কেননা আল্লাহ মহান , আল্লাহ ক্ষমাশীল। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় , আল্লাহ তায়ালা তাকে পছন্দ করেন এবং তার ভুলগুলো ক্ষমা করে দিতে পারেন। এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি করে আল্লাহর এবাদত করা এবং ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া। আর রমজান মাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতেও পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এবং আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগী হতে হবে।

রমজান মাসের অন্যান্য ইবাদত গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল সিয়াম সাধনা করা বা রোজা রাখা । কোন ব্যক্তি যদি সিয়াম সাধনা করে তাহলে আল্লাহর রহমত তার উপর বর্ষিত হয় । সাধারণত আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করাকে সিয়াম সাধনা বলা হয়। সিয়াম সাধনা বলতে শুধুমাত্র রোজা রাখলে হবে না । পবিত্র মনে রোজা রাখতে হবে এবং রোজা রাখার জন্য নিয়ত করতে হবে । তাছাড়া রমজান মাসে যে শুধুমাত্র রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা যায় এমনটা না । রোজা রাখার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত করতে হবে এবং বিভিন্ন আমল করতে হবে । তাহলে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হবেন এবং ওই ব্যক্তির উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হবে।