কাতারের সেহরির সময় ২০২৩

আমাদের থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে কাতার প্রবাসীরা রয়েছেন। বাঙালি হয়েও বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছেন শুধুমাত্র তারা একটি কর্মের জন্য। তাই পরিবার পরিজন ছেড়ে আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে অর্থ উপার্জনের জন্য তারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে কত দূরে অবস্থান করছেন তাদের জীবনের সকল সুখ শান্তি পরিত্যাগ করে। এ সকল প্রবাসী ভাইদের জন্য রইল আমাদের অশেষ সালাম। কারণ তারা শুধু যে অর্থ উপার্জন করে তাদের পরিবারের আই উন্নতি করছে তা কিন্তু না তাদের সেই কষ্টের উপার্জিত অর্থ আমাদের বাংলাদেশকেও সমৃদ্ধ করছে।

এই কারণে যারা কর্মসূত্রে আমাদের বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে রয়েছে তারা আমাদের অবশ্যই রেমিট্যান্স হিসেবে সরকার দেখে থাকেন। সরকার সহ দেশের সকল নাগরিক সেই সকল প্রবাসী ভাইদের প্রতি রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। কারণ আমাদের চাইতে তারা অনেক বড় বেশি দেশ প্রেমিক কারণ তারা দেশের জন্য দেশের বাইরে যে লড়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের গোটা জাতি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা কাতারে অবস্থান করছেন চাকরি সূত্রে সেই সকল প্রবাসী অর্থাৎ কাতার প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে সেহরির সময়সূচি নিয়ে তাদের সামনে উপস্থিত হব। কাতার একটি বিশ্বে অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক ধনী একটি দেশ।

এই কারণে অনেক বাংলাদেশী আমাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের ওখানে চাকরি করতে যায়। চাকরি করার স্বার্থে তারা সেই দেশে অবস্থান করে। আগামী সপ্তাহর থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালের পবিত্র মাহে রমজান মাস। এই পবিত্র মাহে রমজান মাসে সকল মুসলমানগণ অত্যন্ত ভাব গম্ভীর্যের সহিত এই মাসটিতে সিয়াম সাধনা করেন। ইসলামীদের বা মুসলমানদের একটি চিন্তা সেটি হচ্ছে আখিরাতকে নিয়ে। আখিরাতে যদি সকল কিছু উত্তর ঠিক ঠিক দিতে পারে এবং সকল কাজ অর্থাৎ ইহজাগতিক কাজগুলো যদি ভালোভাবে করে যেতে পারে তাহলে অবশ্যই প্রতিটি ব্যক্তি জান্নাত প্রবাসী হবেন। তাই জান্নাতবাসি হওয়ার আশায় আমরা সকলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সবসময় এবাদত বন্দেগী করে যাই। কিন্তু আমরা সকলেই আমার তাকিয়ে থাকি পবিত্র মাহে রমজান মাসের দিকে। কারণ এই পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহতালা তার বান্দার সকল গুনাহ মাফ করে দেন। আর এ কারণে আমরা এই পবিত্র মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে যাই অত্যন্ত নিরলস ভাবে।

কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিম ভাইয়েরা সেই দেশে অবস্থান করার কারণে তারা সেখানেই তাদের সিয়াম সাধনা করে যাবে অর্থাৎ রোজা রাখবে নামাজ কালাম পড়বেন। কিন্তু একটি বিষয় হলো যে তারা কাতারের ভাষা ঠিক মতো না বোঝার কারণে সময়সূচিটা ভালোভাবে বুঝতে পারে না। কিন্তু এই সময়সূচী না জানলে নামাজ কালাম এবং সেহেরী ইফতার ঠিকমতো সময়মতো করতে পারবেনা আমাদের এই প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইয়েরা। তাই আজকে আমরা তাদের সামান্য উপকার করার প্রয়াস নিয়ে আমাদের এই পোস্টে তাদের জন্য সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি তাদের সামনে উপস্থাপন করব। এতে তারা সামান্য হলেও উপকৃত হবেন বলে আমরা আশা করি। তবে ইফতারের সময়সূচি চাইতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেহরির সময়সূচী।

কারণ সারাদিন কর্মের উদ্দেশ্যে অন্যান্য সাথীদের সঙ্গে অবশ্যই তারা একসঙ্গে থাকবেন এবং একসঙ্গে ইফতার ও করতে পারবেন কিন্তু সেহেরির সময় একা একাই থাকতে হয় নিজ স্বয়ং কক্ষে। তাই নিভৃতে একা একাই তাদেরকে সেহরি করার জন্য উঠতে হয়। কিন্তু যদি সময়টা ঠিকমতো না জানলে তারা অবশ্যই বিপদে পড়তে পারে কারণ সময়সূচী না জানলে কিভাবে ভোরবেলা উঠবেন। তাই আমরা সেহেরির সময়সূচি নিয়ে তাদের সামনে হাজির হচ্ছে যাতে পবিত্র মাহে রমজানের সময়টি তাদের জন্য খুব ভালোভাবে কাটুক। আর এই কারণে আজকে আপনারা আমাদের এই পোস্টটিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে গেলাম শুধুমাত্র তাদের সামান্য একটু উপকার করার আশায়। তো যাই হোক চলুন দেখা যাক কাতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরীর সময়সূচী।