জেদ্দা হলো সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলের লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত ফি হামার অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটি সৌদি আরবের মক্কা প্রদেশের সর্ববৃহৎ ও সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে পরিচিত আছে। লোহিত সাগরের উপর অবস্থিত সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দর এই শহরেই অবস্থিত আর এই কারণে এই শহরটি সৌদি আরবের জন্য যেমন তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের জন্যই একটি অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়। এই শহরের লোক সংখ্যা ৪৩ লক্ষ। এই শহরটি সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। যেহেতু দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের একটি বিরাট শ্রমবাজার রয়েছে এই কারণেই সৌদি আরবের বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।
তারা বাংলাদেশের একেবারে শ্রমজীবী মানুষ এই কারণে তারা কম শিক্ষিত হওয়ার কারণে আরবি ভাষা বা পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা তেমন জানেনা। আর এই কারণে তাদের আরবি ভাষায় অর্থাৎ সৌদি আরবের আরবি ভাষায় যে ইফতার ও সেহেরির সময়সূচি প্রকাশিত হয় সেটি তারা পড়তে পারেনা বা অন্যজনের অর্থাৎ তাদের সহকর্মে যারা রয়েছে তারাও যেহেতু অন্য বসবাসের সেই কারণে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করল তারা বা তাদের ভাষা বুঝতে পারে না। আর এ সকল ভাষা বিদ্যাপের কারণে তাদের সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থানরত বাংলাদেশীদের রোজা রাখতে অনেক সমস্যা হয়। যদিও আমরা জানি সৌদি আরব ইসলামের মাতৃভূমি। ইসলামের এই মাতৃভূমিতে থেকেও তারা রোজার জন্য অন্য ভাষার তালিকা দেখতে হয়।
কারণ একটাই সেটি হলো তারা বাংলা ভাষা ছাড়া পৃথিবীর আর কোন ভাষা না জানার কারণে তাদের সমস্যা হয় কিন্তু পৃথিবীর সকল মুসলিম বছরের এই মাসটি অর্থাৎ মাহে রমজান মাসটির জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। আর এই অধীর আগ্রহে থাকে একটাই কারণে সেটি হচ্ছে যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ আর এই কারণে মুসলিম প্রধান দেশের প্রায় সকল নাগরিকই হল ইসলামিক বা মুসলমান। মুসলমান জাতি যে রোজা রাখবে না এটি কখনোই হতে পারে না। আর আরেকটি বিষয় হলো যে আল্লাহর তালার নিকট্য লাভের একটি মাছ চেয়েছে যা ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে সেই সময় সকল মুসলমানগণ আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করতে পারে।
এই কারণে প্রতিটি মুসলমান চেষ্টা করেন যে মাহে রমজান মাসকে অর্থাৎ রমজান মাসটি তারা বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী বা আল্লাহতালার সন্নিকটে যেভাবে যাওয়া যায় সে সকল সিয়াম সাধনা করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু শ্রমিকগণ সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থান করার কারণে তারা এই পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা থেকে অনেকটাই সমস্যা হতে পারে আর এই কারণে তাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। আর সেই থেকে আজকে আমাদের পোস্ট টিফিন যারা সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থান করছেন তাদের জন্য বাংলা ভাষায় সৌদির জেদ্দার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচীর তালিকা দেখাবো। এই সময়সূচি যদি জানা পায় তাহলে তাদের আর এই রমজান মাসে কোন সমস্যা থাকবে না সিয়াম সাধনা করার ক্ষেত্রে। আর আমরাও একটু হলেও সান্ত্বনা পাবো যে আমাদের দ্বারা সুরের প্রবাসী অর্থাৎ জেদ্দা প্রবাসী বাঙালি মুসলমানদের জন্য কিছু একটা করতে পারছি।
এই কারণে যোদ্ধার অবস্থানরত সকল বাঙালি মুসলমানদেরকে আমরা আহবান জানাচ্ছি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং ইসলামের যাবতীয় তথ্য ও তথ্য জানা থাকলে আমাদের এখান থেকে দেখে নিবেন। আবার যে কোন জিনিস আপনাদের যদি ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় অর্থাৎ যেমন ধরুন এই জেদ্দার স্থানীয় সময়সূচি অনুযায়ী মাহে রমজানের সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি যদি আপনাদের ডাউনলোড করে নিতে হয় আপনারা তা অবশ্যই পাবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কোন তথ্য-পত্র ডাউনলোড করে নিতে এক্সট্রা কোন চার্জের প্রয়োজন হয় না। আর তাই আপনারা চাইলেই তা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাহলে এখন চলুন তালিকাটি দেখে এবং প্রয়োজন হলে আমরা তার ডাউনলোড করে নিই।