পিরোজপুর জেলাটি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বিভাগ বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত। এবং এই বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হলো পিরোজপুর জেলা। বর্তমান বিরাজপুর জেলা হল বঙ্গোপসাগরের পৌরসজাত জোয়ার ভাটার পলিনুতে গড়া একটি পলল ভূভাগ। অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের দ্বারা আনিত পলিমাটির দিয়ে এই পিরোজপুর জেলার মাটি তৈরি হয়েছে বা গঠন হয়েছে বহু বছর ধরে।
সমুদ্রের নোনা জল স্নাত ক হয়ে গাঙ্গেয় বদ্বীপের দক্ষিণ ভাগে সাগর পক্ষে একদিন যে মৃত্তিকা উঁচু হয়েছিল অথবা চর্চ জেগেছিল সেই বৃহৎ হে এখন পিরোজপুর জেলা নামে পরিচিত হয়েছে। অর্থাৎ এ কথাই সত্যি যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালি কণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর আতাল। অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের একটি ক্ষুদ্রতর আস্তে আস্তে বড় হয়ে জনবসতি স্থাপন করতে করতে আরও বড় হতে হতে আজকে একটি পুরো পিরোজপুর জেলায় পরিণত হয়েছে।
তবে গাঙ্গেয় বদ্বীপের যে ভূ-ভাগ নিয়ে পিরোজপুর জনপদ গঠিত সে অঞ্চল অপেক্ষাকৃত বয়সে নবীন ও বাংলাদেশের দক্ষিণ ভাগের অবস্থিত প্রান্ত ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে যেদিন প্রথম ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছিল তারপর থেকে অতি দ্রুততার সহিত এই অঞ্চল ইসলাম ধর্মে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আর এ কারণেই যেহেতু আজ রমজান মাস সেই রমজান মাসের ইফতারের সময়সূচি সকল মুসলিম ধর্মের মানুষের জন্য প্রয়োজন। কারণ এই মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং বৃহৎ ধর্মীয় পবিত্র জেমাস সেটি হল রমজান মাস। হাদিস এবং কোরানে এই রমজান মাসের অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। তবে আমরা সেদিকে না যাই কারণ এই ফজিলত অর্থাৎ রমজান মাসের যে ফজিলত সেটি বর্ণনা করে আমরা শেষ করতে পারবো না।
শুধু একথাই বলতে পারি সংক্ষেপে যে আরবি বারোটি মাসের মধ্যে সবচাইতে পবিত্রতম মাস হল এই রমজান মাস। রমজান মাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর কোরআন নাযিল হয়। আর সেই কোরআন হলো মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্রতম গ্রন্থ। এই মুসলিম ধর্মের অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের জীবন বিধান রয়েছে। ইসলাম ধর্মের লোকজন অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা কিভাবে জীবন যাপন করবে এবং অন্যান্য সকল বিষয় এই কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই একজন মুসলিমের জন্য কোরআন সবচাইতে পবিত্র গ্রন্থ এবং এই কোরআনের আলোকে যদি নিজের জীবন আলোকিত করতে পারে তাহলে আর অন্য কোন দিকে তাকাতে হবে না ইনশাল্লাহ। পবিত্র রমজান মাসের সকল মুসলমানগণকে অবশ্যই ইবাদত বন্দুকের মাঝে কাটাতে হয়। আর ইবাদত বন্দেগি করতে হলে অবশ্যই সময়সূচির প্রয়োজন রয়েছে।
কারণ হলো এই পবিত্র মাসে সারা মাস জুড়ে মুসলমানদের সিয়াম সাধনা করে যেতে হয়। সিয়াম সাধনার মধ্যে হল আছে রোজা রাখা। রোজা রাখতে হলে অবশ্যই সময় দেখে ইফতার করতে হয় এবং সেহেরিরও একটি শেষ সময় রয়েছে। সেই শেষ সময়ের মধ্যে সেহেরী না খেলে রোজা রাখা অনেকটা সমস্যা হয়ে পড়ে। তাই রমজান মাসের সকল ধরনের সিয়াম সাধনার জন্য আমাদের অবশ্যই যে সময়সূচি গুলো রয়েছে সেই সময়সূচি গুলো আমাদের হাতের কাছে রাখতে হয়। সময়সূচি ছাড়া সিয়াম সাধনা হয় না। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন সেহরি ইফতার সহ অন্যান্য সকল সময়সূচি দেখার জন্য তাহারা অবশ্যই এখন এই সময়সূচি দেখতে পাবেন। কারণ আমরা আমাদের এই পোস্ট থেকে এখন পিরোজপুর জেলার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ইফতারের যে সময়সূচির তালিকা রয়েছে সেই সময়সূচির তালিকাটি আমরা এখন আপনাদের জন্য উপস্থাপন করব।
আপনারা সেই তালিকাটি অর্থাৎ সময়সূচির তালিকাটি নেবেন দেখবেন এবং ডাউনলোড করেও নিতে পারেন। কারণ আমাদের এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে তালিকাটি ডাউনলোড করে নিচে রাখবেন এবং অন্য কেউ পাঠাতে পারেন। আপনার বন্ধুবান্ধ ব আত্মীয়-স্বজনসহ অন্যান্য সকলকে যদি এই তালিকাটি আপনার পূরণ করেন তাহলে অবশ্যই তারা অনেক উপকার পাবে এর থেকে। তাই আপনারা দেরি না করে এখন আমাদের এখান থেকে পিরোজপুর জেলার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ইফতারের সময়সূচি তালিকাটি দেখে নিন।