রাজশাহী জেলার রমজানের সময়সূচি এবং আপনারা রমজান মাসে যে সকল কাজগুলো করবেন বা সঠিক নিয়মে রোজা পালন করার নিয়ম গুলো সব রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে রমজান মাসের রাজশাহী জেলার সকল সময়সূচির তালিকা এবং কিভাবে সঠিক নিয়মে রোজা পালন করবেন তার সকল তথ্য আমাদের এখানে দেয়া রয়েছে।
আপনারা আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন সঠিক নিয়ম গুলো। রমজান মাস একটি পবিত্র মাস তবে রমজান মাসের রোজা পালন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম গুলো জানতে হবে কারণ আপনি যদি সঠিক নিয়ম গুলো না জেনে থাকেন তাহলে রোজা পালন করা আপনার ফরজ ভাবে হবে না। কারণ রোজা পালন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে তবে আপনার রোজাটা পরিপূর্ণভাবে হবে কারণ রোজা পালন করার সময় অনেক কিছু নির্দেশনা রয়েছে যা পালন করা ফরজ কাজ।
আপনি যদি সঠিক নিয়ম কানুন মেনে না চলেন তাহলে শুধু আপনার সারাদিন না খেয়ে থাকা হবে কিন্তু সঠিক নিয়মে রোজা পালন করা হবে না এতে কোন লাভ নেই। তাই আপনাদের এই সকল বিষয়গুলো জানতে হবে এবং সঠিক নিয়মে রোজা পালন করার জন্য আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা জানতে পারবেন রোজার মাসে আসলে কিভাবে চলতে হবে এবং কি কি কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
রোজার মাসে অবশ্য আপনাকে পাক-পবিত্র থাকতে হবে এবং সময়মতো সেহরি ও ইফতার করতে হবে যার জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে রাজশাহীর মধ্যকার সকল টাইম দিয়েছি আপনারা এই টাইম অনুযায়ী সেহেরী ও ইফতার করতে পারবেন খুব সহজে। এই টাইমগুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনার অনেক দেরি হয়ে যাবে যেমন আপনি কাজ করতে থাকবেন কিন্তু আযানের সময় হয়ে গেলে তখন তাড়াহুড়া হয়ে যাবে সব কাজের সেজন্য যখন আপনি সময় গুলো ভালোমতো জেনে রাখবেন তখন আপনার সকল কাজ সেহরি বা ইফতারির আগে কমপ্লিট করা হয়ে যাবে।
অবশ্যই আপনাকে সেহরির কাজগুলো সময়মতো শেষ করতে হবে কারণ অনেক সময় দেখা গিয়েছে যে মানুষ ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে বা ঘুম থেকে উঠে কাছে সাথে সাথে আযান দিয়ে ফেলে এবং আজানের পরে তারা না খেয়ে রোজা রাখে এটা একেবারেই করা যাবে না।
অবশ্য আপনাকে সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং আজানের আগেই আপনাকে সেহরি গ্রহণ করতে হবে তবে পরিপূর্ণ হবে আপনার রোজার কাজ। ঠিক একই ভাবে ইফতারের সময় আপনাকে মাগরিবের আজানের আগ মুহূর্তে গিয়ে খাবার রেডি করে বসে থাকতে হবে কারণ আপনি যখন ইফতারি নিয়ে বসে থাকবেন তখন আল্লাহ অবশ্যই দেখবে যে আপনি আল্লাহর হুকুমের বাইরে কিছু খাচ্ছেন না এবং আল্লাহর হুকুম দিলে আপনি পানি পান করবেন।
তখন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার সহজ হবে এই জন্য সকল কাজ সময়মতো শেষ করে এসে সেহরি ও ইফতারের সময় গুলো সময় মতই করতে হবে তা না হলে সঠিক নিয়মে রোজা পালন করা হলো না। আবার এই রমজান মাসে আপনাকে সব সময় পাক পবিত্র থাকতে হবে। কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে আল্লাহর কালেমা পাঠ করতে হবে।
আপনাকে এই রমজান মাসে সালাত আদায় করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তো আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে এবং অবশ্যই আপনাকে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রমজান মাসে আপনাকে বেশি করে নফল নামাজ পড়তে হবে কারণ প্রতি মাসে আপনি নামাজ পড়েন সেটা থেকে দ্বিগুণ সওয়াব পাবেন আপনি রমজান মাসে প্রত্যেকটা কাজের জন্য।
এ রমজান মাসে যদি আপনি আপনাদের আশেপাশের গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান যাকাত দেন এবং দান-সদকা করেন তাহলে আল্লাহ অনেক খুশি হয় এবং আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে। অনেক সময় রমজান মাসে কোরআন শরীফ খতম দেয়ার জন্য মানুষ তাড়াতাড়ি কোরআন শরীফ পড়ে এবং খুব দ্রুত উচ্চারণ করে ও এক মাসের মধ্যে অনেক কয়বার খতম দিয়ে ফেলে।
এইটা একেবারে করা যাবে না আপনি যদি কোরআন তেলোয়াত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঠেমে ভালোভাবে বুঝে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে সুষ্ঠু মিষ্টি কন্ঠ দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে যেন সেটা শুনলে সবার মন ভরে যায়। তাড়াহুড়া করে এই সকল কাজ করা যাবে না আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনাকে ঠান্ডা মাথায় এবং আস্তে আস্তে পড়তে হবে।