সৌদি আরব দেশটি হলো ইসলামের মাতৃভূমি। অর্থাৎ এই সৌদি আরবে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর হাত ধরে। পরবর্তীতে এই সৌদি আরব থেকে ইসলাম এখন সারা পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করেছে। আর এই কারণে সৌদি আরবে সকল জনগণ প্রায় মুসলিম কিন্তু বিদেশ থেকে কিছু জনগণ অন্যান্য দেশের নাগরিকরা সেই দেশে কর্মসূত্রে গিয়ে থাকে। কিন্তু মোটের উপর প্রায় সকল জনগণ ই মুসলিম। কিন্তু মুসলিম হলে কি হবে আমাদের অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিরা সৌদি আরবেই যেয়ে থাকেন অর্থাৎ কর্মসূত্রে তারা সৌদি আরবে থাকেন। এই সৌদি আরবের প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেখানে রমজান মাসে অবস্থান করবেন। রমজান মাসে বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম জনগণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে থাকেন আল্লাহতালার নৈকট্য লাভের আশায়।
অর্থাৎ মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষের চাওয়া পাওয়া তাদের নসিবে জানাও বেহস্ত দান করা হোক। আর বেহেস্তের জন্য সকলকে আবার এই পৃথিবীতেই কাজ করতে হয়। অর্থাৎ আখিরাতের হিসাবের খাতায় যদি গুনাহ বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বেহেস্তে নসিব করবে না এই কারণে গুনার খাতা যেন কম হয় এবং পূর্ণভাগ যদি বেশি হয় তাহলে সে বেহেস্তে যেতে পারবে। আর এই কারণে আল্লাহর বিধান মতে সব সময় তার জীবন অতিবাহিত করলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দার প্রতি খুশি হবেন এবং তার পূর্ণভাগ বেশি হবে এবং পরকালে তিনি অবশ্যই বেহেস্তে নসিব হবেন। যেহেতু রমজান মাসটি প্রতিটি মুসলমানগণ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন তাই আমাদের প্রবাসী অর্থাৎ রিয়াদ প্রবাসী বাঙালি মুসলমানগণ কেন চুপ করে বসে থাকবে।
তারাও আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্য অবশ্যই ইবাদত করে যাবেন। কিন্তু আরেকটি বিষয় হলো ইবাদত করার জন্য অবশ্যই ইসলামের একটি সময়সূচী রয়েছে অর্থাৎ রমজান মাস থেকে সকলেই রোজা রাখেন সিয়াম সাধনা করে থাকেন। রোজা রাখার পূর্ব শর্ত হলো অবশ্যই তাকে সেহরি খেতে হবে কিন্তু তারা যদি সেই সেহেরির শেষ সময় কত সেটা যদি না জানে বা না বুঝতে পারে তাহলে তাদের জন্য রোজা রাখা হয় না। আর রোজা রাখতে না পারলে অবশ্যই ইফতারের ও প্রয়োজন হয় না তাহলে তাদের গোটা রমজান মাসটি বা এভাবে রমজান মাসের অধিকাংশ দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রার্থনা করতে পারেন না। কিন্তু এই বিষয়টি অবশ্যই একজন মুসলমান হয়ে কাম্য হতে পারে না আমাদের। এইজন্য আমরা একজন মুসলমান হয়ে আর একজন মুসলমানের সাহায্যে এগিয়ে আসছি।
অর্থাৎ আমরা সেই সকল রিয়াদ প্রবাসী বা সৌদি আরব প্রবাসী বাঙালি মুসলমান ভাইদের ইফতার এবং সেহেরির সময়সূচী একেবারে সৌদি আরবের অর্থাৎ রিয়াদের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বাংলা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস তাদের জন্য দেখিয়েছি। আমরা সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের আরবি ভাষায় প্রকাশিত সেহেরী এবং ইফতারের সময়সূচি আমাদের বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে তাদের জন্য দিয়েছি। এই কারণে প্রতিটি মুসলিম অর্থাৎ সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলমানগণ আমাদের এই ওয়েবসাইটটি যদি ভিজিট করে আমাদের দেওয়া এই তালিকাটি ডাউনলোড করে নেন তাহলে তাদের মাহে রমজান মাসটি সিয়াম সাধনা একেবারে নির্বিঘ্নে হতে পারে। সিয়াম সাধনার বিষয়টি যদি তারা মনে রেখে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সেহেরির ও ইফতারের বাংলা ভাষায় প্রকাশিত তালিকাটি নিয়ে যদি তারা রোজা রাখেন তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না।
কারণ যেহেতু তারা সব সময় কাজের মধ্যে থাকে এই কারণে ঘড়ির সময় কখন ইফতারের সময় হচ্ছে সেটা যদি বুঝতে না পারে তাহলে তাদের জন্য ইফতার করাটা সমস্যা হয়। আর এই সমস্যা থেকে কাটিয়ে উঠার জন্য আমরা তাদের একেবারে মাতৃভাষা অর্থাৎ বাংলা ভাষায় রিয়াদের স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রকাশিত ইফতারের তালিকাটি আজকে তাদের জন্য উপস্থাপন করব। এই তালিকাটি নিয়ে তারা তাদের জীবনে অর্থাৎ সেখানকার কর্মজীবনে সিয়াম সাধনার কাজে লাগাতে পারলে আমরা অনেক উপকৃত হব। তাহলে চলুন দেখি রিয়াদের স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রকাশিত অর্থাৎ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত ইফতারের তালিকাটি।