ওমান দেশটি হলো আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ পূর্ব কোণাতে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রটিকে বনভূমি দেশ বলা হয় যেখানে সূর্য পর্বতমালার ঠিক পাশেই রয়েছে উজ্জ্বল শুভ্র বালুর সমুদ্র সৈকত। এই দেশটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবেই বিশ্ব পরিচিত। এই দেশে রয়েছে সংখ্যালঘু ইবাদি মুসলিম লোকেরা। এই ইবাদি মুসলিমরা হল শিয়া এবং সুন্নিদের চাইতে আলাদা একটি জাতিসত্তা। অর্থাৎ এরা শিয়া এবং সুন্নি থেকে স্বতন্ত্র একটি মুসলিম জাতি হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই ওমান দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মহাসাগরীয় বাণিজ্যের একটি অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এই দেশটি ১৭০০ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত উপনিবেশিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। ওমানের রাজা সুলতান উপাধি ব্যবহার করে। এবং ওমানের একটি সরকারি নাম রয়েছে সেই নামটি হল ওমান সালতানাত।
ওমানের রয়েছে ভাটিনা অঞ্চলের নাখাল খেজুর গাছের খামার। ওমানের পশ্চিমে ইয়েমেন সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। পূর্বে রয়েছে আরব সাগর উত্তরে ওমান উপসাগর। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ওমানে রোজা শুরু হবে সৌদি আরবের যেদিন রোজা শুরু হবে সেদিন থেকেই অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে একদিন আগে সেখানে রমজান মাস শুরু হবে এটি প্রতিবছর হয়ে আসছে। তাই বাংলাদেশের যদি ২৪ শে মার্চ থেকে মাহে রমজান শুরু হয় তাহলে ওমানের শুরু হবে ২৩ শে মার্চ থেকে। আর আমরা জানি যে ওমানের সাথে বাংলাদেশের একটি শ্রমবাজার রয়েছে। এই চাপাবাজ ার থাকার কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ওমান সরকার আমাদের শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষদেরকে চাকুরী প্রদান করে প্রমাণ সরকার।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওমানে অনেক বাঙালি মুসলমান বসবাস করে থাকে। তাই যেহেতু মুসলমানেরা রমজান মাসটির জন্য সারা বছর আগ্রহ পরিবেশে থাকে তাই ওমানের বাংলাদেশ প্রবাসী মুসলমানেরাও অধীর আগ্রহে থাকে মাহে রমজানের জন্য। কারণ আল্লাহতালা রমজান মাসে প্রার্থনা অর্থাৎ এবাদত বন্দেগিতে অনেক খুশি হয়ে থাকেন। এবং এই সময় আল্লাহর বান্দাগণ যেহেতু আল্লাহকে সব সময় স্মরণ করে থাকেন আর এই কারণে আল্লাহতালাও তাদের আল্লাহতালার বান্দাদের জন্য অনেক হাসিল করেন এবং তাদের সকল গুনাহ মাফ করে দেন।
এবং সকল জনগণের অর্থাৎ মুসলিম জনগণের জন্য যেহেতু রমজান মাসটি পবিত্র হয়ে থাকে এবং এই মাসটিতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান গান ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে কাটাতে চায় এই মাসটি। কিন্তু একটি সমস্যা হয় ওমানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলমানদের জন্য সেটি হল তারাও যেহেতু বাংলা ভাষা ছাড়া পৃথিবীর আর অন্য কোন ভাষা তেমন বুঝতে পারে না এই কারণে ওমানের স্থানীয় ভাষায় সেখানকার সরকার সেহরি এবং ইফতারের যে সময়সূচী আছে সেটি প্রকাশ করে। কিন্তু বাঙালি মুসলমানরা এই ওমানের স্থানীয় ভাষা না বোঝার কারণে তারা কখন সেহরি খাবে কিভাবে রোজা রাখবে এভাবে তারা একটি দিশেহারা হয়ে থাকে।
এই কারণে প্রতিটি মুসলমান যদি অর্থাৎ ওমান প্রবাসী বাঙালি মুসলমান যদি আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে তাহলে তারা সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি অর্থাৎ স্থানীয় ওমানের সময় অনুযায়ী সময়সূচির তালিকা পাবে এবং এছাড়াও তারা ইসলামের সকল বিষয়ের ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারে। কারণ আমরা ইসলামের সকল তথ্য উপাত্ত গুলি আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। এই কারণে যদি তাদের প্রয়োজন হয় যে কোন তথ্য উপাত্ত পাওয়ার তাহলে তারা অবশ্যই এই তথ্যপত্র গুলি দেখে নিতে পারবে অনায়াসেই।
আবার প্রয়োজনবাদের সেই তথ্য উপাত্তগুলি তারা ডাউনলোড করেও নিতে পারে। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো তথ্য উপাত্ত ডাউনলোড করে নিতে পারবে এবং এখানে অর্থাৎ ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না।তাই আপনারা যারা অপমান প্রবাসী অর্থাৎ বাঙালি মুসলমান তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপাত্তগুলি আমাদের এখান থেকে ডাউনলোড করে নেবেন। তাহলে এখন দেখি যে ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী কবে থেকে রমজান মাস শুরু এবং রমজান মাসের 30 অথবা 29 দিনের সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি তালিকা এবং সেটি অবশ্যই বাংলা ভাষায় ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী।