পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রটির সাথে আমাদের রাষ্ট্রের একটি সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামিক দেশ এবং ওমান ও ইসলামিক দেশ এই কারণে সুসম্পর্কটা আরও বেশি করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে ওমান রাষ্ট্রটির সাথে আমাদের গভীর সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক আরো ধীরে ধীরে মজবুত হয়েছে। কারণ হলো অপমান সরকার প্রতি বছর বিদেশ থেকে অনেক শ্রমিক তাদের দেশে নিয়ে থাকেন। তারই সূত্র ধরে ওমান দেশটি বাংলাদেশ থেকেও অনেক শ্রমিক তাদের দেশে নেয়। এ সকল শ্রমিকগণ অধিকাংশই বাঙালি মুসলমান শ্রমিক।
কারণ হলো ওমান দেশটি যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ তাই আমাদের বাংলাদেশের মুসলিম জনগণও মানে যেতে অনেক আগ্রহী হয় বেশিরভাগ মুসলিম জনগণই পাঠানো হয় সেই দেশটিতে বিভিন্ন কর্মের জন্য। কর্মগুলি করার কারণে তারা আমাদের দেশে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রা দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী করতে অনেক উপযোগী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই কারণে আমাদের বাঙালি মুসলিম জনগণ অনেকাংশেই ওমানে বসবাস করার জন্য আমাদের তাদের জন্য একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস রয়েছে।
সেটি হলো ২০২৩ সালের রমজান মাস আগত এবং এই রমজান মাসের জন্য গোটা পৃথিবীর মুসলিম সমাজ চেয়ে থাকেন সারাবছর ধরে। কারণ এবাদত বন্দেগীর জন্য আমাদের একটি মাসকে পবিত্র মাস বলে ধরা হয়। কারণ রমজান মাসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর নিকট কোরআন শরীফ নাযিল হয়। এই মাসটি মুসলিমদের কাছে অর্থাৎ প্রতিটি মুসলমানের কাছে অনেক পবিত্র বলে বিবেচিত হয় আর আরেকটি বিষয় হলো যেহেতু রমজান মাস পবিত্র মাস এবং এই মাসে এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহ তালাকে সহজেই পাওয়া যায় বা তাকে সন্তুষ্টি করা যায় এই কারণে সকল মুসলমানগণ এই রমজান মাসটিতে এবাদত এর মাধ্যমে এবং সাধনার মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্টির পথে এগিয়ে যান। আর এই এবাদত বন্দেগী করার জন্য রমজান মাসের একটি সময়সূচি থাকে সেটি হল সেহরির শেষ সময় এবং ইফতারের সময় এ সকল নিয়ে একটি ক্যালেন্ডার বা সময়সূচী তৈরি করে প্রতিটি মুসলিম দেশ।
কিন্তু ওমান যদিও একটি মুসলিম দেশ সে দেশের ইবাদি মুসলিম অর্থাৎ সংখ্যালঘু এর ইবাদি মুসলিমদের বাস। ইবাদে মুসলিম হলো তারা শিয়া এবং সুন্নী থেকে আলাদা বা স্বতন্ত্র জাতিসত্তার একটি ইসলামিক ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠী বলা হয়ে থাকে। তারা অর্থাৎ এই বিবাদী মুসলিমদের ভাষা হল শুদ্ধ আরবি ভাষা এবং তারা আবার কিছু স্থানীয় ভাষায় কথা বলে সেটি হচ্ছে আরবি উপভাষা। আর এ সকল ভাষা আমাদের বাঙালি মুসলমানগণ বুঝতে পারে না আর না বোঝার কারণে তাদের ইবাদত বন্দেগীতে সমস্যা সৃষ্টি হয় কারণ হলো ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী রোজা ইফতার এবং সেহরির সময়সূচি তালিকাটি তৈরি করা হয় আরবি ভাষায়। আর এই আরবি ভাষা আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইয়েরা না বোঝার কারণে তাদের অনেক বিরম্বনা করতে হয়।
আরেকটি ব্যাপার হলো যে তারা যদিও ইফতার বিষয়টি সকলের সঙ্গে করে ফেলতে পারে কর্মক্ষেত্রেই কিন্তু শেষ রাত্রিতে যেহেতু সেহরি খেতে হয় এই কারণে সেহরির শেষ সময় জানা তাদের জন্য অনেক বড় একটি বিষয় বলেই মনে করা হয়। কারণ হলো যখন তার রুমে অর্থাৎ রাত্রিতে একা একা বসবাস করে কিন্তু তার আশেপাশে কাউকে বাঙালি না পাওয়ার কারণে কখন সময় সেহেরির শেষ সময় ছুটি তারা না বোঝার কারণে সেহরি করতে পারেনা আর এ কারণে রোজা রাখতে পারে না। এসব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে তাদের জন্য বাংলা ভাষায় ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরির শেষ সময় এবং ইফতারের সময়সূচির একটি তালিকা নিয়ে তাদের জন্য আমরা হাজির হয়েছি। তাহলে ওমান প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইয়েরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের এখান থেকে ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রকাশিত ২০২৩ সালের রমজান মাসের সময়সূচি দেখে নেয় তাহলে তাদের যেমন উপকার হয় আমরাও এই রমজান মাসে সামান্য উপকার করতে পেরে ধন্য বলে মনে করব।