পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ পূর্ব কোনায় অবস্থিত একটি দেশ আছে দেশটির নাম হল ওমান। ওমান রাষ্ট্রটি সংখ্যালঘু ইবাদি মুসলিমদের বাস। এই দেশটি সুতরাশি খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত উপনিবেশিক শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই ওমান রাষ্ট্রটিতে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক সেখানে কাজের জন্য যায়। সেই সূত্রে তারা ওখানে বসবাস করে। এখানেই তারা বসবাস করে এখানে তারা থাকে এখানেই তাদের ধর্ম পালন করে থাকে। এই কারণে যারা ওমানে প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে সেই সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা কিন্তু অল্প শিক্ষিত হওয়ার কারণে তারা বিশুদ্ধ আরবি ভাষা বা আরবি উপভাষা ভালো করে বুঝতে পারে না। বিশুদ্ধ আরবি ভাষায় হল ওমানের সরকারি ভাষা বা রাষ্ট্রভাষা আর আরবি উপভাষায় তারা বিভিন্ন সময় অর্থাৎ আঞ্চলিকভাবে কথাবার্তা বলে থাকেন।
কিন্তু এই ভাষাটি আমাদের বাংলাদেশী জনগণরা ভালো করে না জানার কারণে তারা সেই দেশে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে যায় তাদের সঙ্গে কথা বলার সময়। কিন্তু এ সকল জনগণ কি আর করবে কাজের তাগিদে তাদের ওই দেশে থেকে যেতে হয় এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সমযোজী মানুষের সঙ্গে তারাও কাজ করে বিভিন্ন কলকারখানা ফ্যাক্টরি দোকান রাস্তাঘাট সকল স্থানেই। তারা প্রবাসী অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল কাজ করে থাকেন। বাঙালি মুসলমানরা অর্থাৎ বাংলাদেশিরা ওমানে সহ সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত কাজ করে থাকেন বলে বাংলাদেশী শ্রমিকের একটি বহির্বিশ্বে ভালো বাজার রয়েছে। তারিখ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে ওমান সরকার অনেক শ্রমজীবী লোক তারা প্রতিবছরই ওমানে নিয়ে যায়। আর আমাদের বাংলাদেশে ও যেহেতু মানব শক্তি একটি বড় সম্পদ এই কারণে এই মানব শক্তি আমরা বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক লাভবান হচ্ছে।
কিন্তু সে দিক থেকে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সমস্যা হল পবিত্র রমজান মাসে সকল মুসলমানগণ ইবাদত বন্দেগী করে থাকবেন। কারণ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সবচাইতে পবিত্রতম আসলো এই রমজান মাস। রমজান মাসেই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল আর এই কারণে এই রমজান মাসটি প্রতিটি মুসলমানের কাছে অত্যন্ত পবিত্র মাস এবং এই মাসের আল্লাহর নৈকট্য লাভের সকল মুসলমানগণ সবসময় এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে সিয়াম সাধনা করে থাকেন।
কিন্তু এ সকল ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে হলে অবশ্যই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক একটি সময়সূচির তালিকা রয়েছে। কিন্তু ওমান সরকার এই তালিকাটি বা মাহে রমজানের যে ক্যালেন্ডারটি সেটি ইংরেজি এবং স্থানীয় আরবি ভাষায় প্রকাশিত এই আরবি ভাষায় প্রকাশিত ক্যালেন্ডারটি আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশী গান কিছুই বুঝতে পারে না। এই তালিকাটি কিছু বুঝতে না পারার কারণ হচ্ছে যে এটি আরবি ভাষায় রচিত আর আমাদের বাংলাদেশিরা আরবি ভাষার তেমন কিছুই না বুঝার ফল।
তাই তাদের বোঝানোর জন্য আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে একদম তাদের মাতৃভাষায় অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ২০২৩ সালের রমজান মাসের ইফতার এবং সেহরির সময়সূচি নিয়ে সেই সকল ওমান প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে হাজির হয়েছি। তারা শুধু আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। তাহলেই তারা ১৪৪৪ হিজরী সনের অর্থাৎ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের রমজান মাসের সমস্ত তথ্য এবং সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ওমানের স্থানীয় সময়ের সাথে মিল রেখে আমরা বাংলা ভাষায় প্রকাশ করে দিয়েছি। এই ক্যালেন্ডারটি বা এই রোজার তালিকাটি সময়সূচির তালিকাটি যদি তাদের কাছে থাকে অবশ্যই তারা নির্দেশ হয় ২০২৩ সালের রমজান মাসের সমস্ত রোজা করতে পারবে নির্দ্বিধায়।
কারণ আমাদের এই তালিকাটির সময়সূচি একেবারে নির্ভুল কারণ এটি ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রকাশিত আরবি সেই তালিকার বাংলা রূপান্তর মাত্র। এই কারণে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত যত্ন সহকারে মনোযোগ সহকারে পড়ে গেলেন তাদের জন্য অনেক ধন্যবাদ। তাহলে আপনারা এখন আমাদের এখান থেকে ওমানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী 2023 সালের রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচি তালিকা দেখে নিন।