বাকশাল এর পূর্ণরূপ কি?

বাকশাল আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি বড় বিষয়। আপনারা যারা রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তারা হয়তো অনেকেই বাকশাল সম্পর্কে জানেন। কিন্তু আমাদের অনেকের মাঝেই এ বিষয়ে কৌতুহল রয়েছে। আমাদের আশেপাশে অনেকেই রয়েছেন যারা রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। কিন্তু বাকশাল সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। বাংলাদেশ অনেকে ধারণা করেন যে, বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের রাজনীতিকে অন্য একটি প্রেক্ষাপটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাকশাল ১৯৭৫ সালে গঠন করা হয়। আজকে আমরা বাকশাল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আপনারা যারা রাজনীতি সম্পর্কে জানতে চান। রাজনীতির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে চান তারা বাকশাল সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। আপনি যদি বাকশাল সম্পর্কে জেনে নেন তাহলে রাজনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি জানতে পারবেন। বাকশাল আমাদের দেশের রাজনীতিকে একটি আলাদা মূল উদ্বোধন করতে সহায়তা করে।

অনেকের কাছে বাকশাল একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। অনেকের কাছে বাকশাল একটি সঠিক কর্মকাণ্ড ছিল। এ সকল বিতর্কের মাধ্যমে আমাদের দেশের রাজনীতি সেই সময়ে পরিচালিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে যখন বাকশাল গঠন করা হয় তখন এটি নিয়ে শুরু হয়েছিল। এখনো অনেকের মাঝে এই মিশ্র প্রতিক্রিয়াটি থেকে গেছে। ১৯৭৫ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করেন। বাকশাল গঠনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বাকশাল ছাড়া অন্য সকল রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কর্মীকে বাকশাল কর্মী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বাকশাল এর পূর্ণরূপ:- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ

 

বাকশাল কি?

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। বাকশাল যখন গঠন করা হয় তখন বাকশাল ব্যতীত দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এমন কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয় যেখানে জানানো হয় যে, বাকশাল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে দেশের কোন ব্যক্তি সমৃদ্ধ থাকতে পারবেনা। প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাকশালের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে।

আর সারাদেশে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল থাকবে। অন্য কোন রাজ্যের দল থাকবে না। তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেউ বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কর্মীকে বাকশাল কর্মী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে তৎকালীন সকল মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সবাইকেই বাকশাল এর কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে বাকশাল গঠন করা হয়।

তৎকালীন সময়ে অবশ্য প্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এই দলের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। তৎকালীন সময়ে যখন বাকশাল গঠন করা হয় তখন দেশের সাধারণ জনতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। কেননা সেই সময়ে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ছিল। শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা নয় দেশের বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য পত্র পত্রিকা কেউ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাকশাল ছাড়া অন্য কোন রাজনীতির দলের খবর সে সকল পত্র-পত্র থেকে প্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হ।য় এটিকে অনেকে আমাদের দেশের রাজনীতির একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে মনে করে থাকেন।